
হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার হোমনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে গর্বের সন্তান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন ওই অন্ত:সত্ত্বা মহিলা ! শনিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর গ্রামে এ অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলার নাম ময়না বেগম। রাতে ময়না বেগম বাদী হয়ে হোমনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, শনিবার ময়না বেগমের ছেলে রাশেদ (১২) প্রতিবেশী সেতু মিয়া গরু তাড়াতে অস্কীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেতু মিয়া রাশেদকে মারধর করে। রাশেদের দাদী মারধরের কারণ জানতে গেলে সেতু মিয়া তাকেও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে একপর্যায়ে সেতু মিয়া উত্তেজিত হয়ে ময়না বেগমের শাশুড়ী কে মারধর শুরু করে, এতে অন্তঃসত্ত্বা ময়না বেগম বাধা দিতে গেলে তার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে শোয়াইয়া ফেলে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধ করার চেষ্টা করে গর্ভের সন্তান কে হত্যার উদ্দেশ্য বার বার হাটু দিয়ে পেটে আঘাত করে তার শ্লীলতাহানি করে। পরবর্তীতে তাদের আত্মচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে অন্তঃসত্ত্বা ময়না বেগম জানান আমি ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা আঘাতের কারণে পেটে ব্যাথা হচ্ছে, গর্ভের সন্তানের নড়াচরা অনুভব করছি না। আমি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।
আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে থানা পুলিশের শরণাপন্ন হই এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রকৃত দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।