শাহজামাল শাওন,কুড়িগ্রাম :
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামীলীগের লগি বৈঠার নিষ্ঠুর আঘাতে কুড়িগ্রামের উদীয়মান শিবির নেতা শহীদ রফিক ও পল্টনে শহীদ মুজাহিদুল ইসলামসহ সারাদেশের শহীদদের স্মরণে কুড়িগ্রাম শহর জামায়াতের গণ সমাবেশের আহবানে সারা দিয়ে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে গণ জমায়েতকে গণ সমাবেশে পরিনত করে। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশ স্থল। শহীদের জন্য তাদের সকলের শ্লোগান ছিল-
শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না, বৃথা যেতে দেবো না, খুনিদের আস্থানা এই বাংলায় হবেনা, আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই, এমন বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে শহরের বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয় হাজার হাজার জনগণ। মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশ স্থল।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর কুড়িগ্রামসহ সারাদেশে নির্মমভাবে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবীতে কুড়িগ্রাম শহর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণকালের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত।
কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্রে সুবিশাল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জামায়াতের স্মরণকালের গণ সমাবেশে ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার কুড়িগ্রাম শহর আমীর মোঃ আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে এবং শহর জামায়াতের সেক্রেটারী আবদুল মতিনের সঞ্চালনায় ডকুমেন্টাটী অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ছাত্রনেতা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আজিজুর রহমান সরকার। গণসমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর সমাজসেবক মাওলানা আবদুল মতিন ফারুকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও সাবেক ছাত্রনেতা শিক্ষাবিদ মাওলানা মোঃ নিজাম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এডভোকেট ইয়াছিন আলী সরকার, জেলা জামায়াতের সবেক জেলা সেক্রেটারী আ ফ ম দেওয়ান আমিনুল ইসলাম, জেলা সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আবদুল হামিদ ও সাবেক ছাত্রনেতা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী শাহজালাল সবুজ ও জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা ফয়েজ উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, জেলা শিবিরের সভাপতি মো: মুকুল হোসেন, সেক্রেটারী মোশাররফ হোসেন প্রমূখ।