
মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক ভারত হতে বাংলাদেশে পুশইন হয়ে আসা ৪ শিশু, ৩ নারী ও ৩ পুরুষসহ ১০জনকে আটক করেছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪টায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৫ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর ৭৮ ব্যাটালিয়ন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের পর জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে টহলরত দূর্গাপুর বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটকরা হলেন- শ্রী মন্টু রায় (৬৫), শ্রী অরচনা রায় (৫০), শ্রী পলাশ রায় (২৮), শ্রী মিতু রায় (২২), পল্লবী রায় (১০ মাস), শ্রী হরিকান্ত বর্মন (২৮), শ্রীঃ মিশু রায় (২৪), শ্রী সম্পা রায় (০২), শ্রীঃ সৌরভ রায় (৫), শ্রী স্বপন রায় (১ মাস)।
বিজিবির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ভিটা গ্রামের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন।
বিজিবি জানান, আটকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসা বাদে জানাজায় তারা কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ১০বছর পূর্বে কুড়িগ্রামের কাশিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। হরিয়ানা প্রদেশের রেওয়ারীতে ইটের ভাটায় কাজ করতেন। পরবর্তীতে তাদেরকে হরিয়ানা হতে বাস যোগে দিল্লিতে আনা হয়। দিল্লি হতে বিমানে করে গুয়াহাটি আনা হয়। গুয়াহাটি হতে বাস যোগ কুচবিহারে আনা হয় এবং উল্লেখিত সীমান্ত দিয়ে ৭৮/পদ্মা বিএসএফ কর্তৃক অবৈধ ভাবে পুশইন করেন।
আটক ব্যক্তিদের সবাই সনাতন ধর্মাবলম্বী। তাদের মধ্যে ৪ শিশু, ৩ নারী ও ৩ পুরুষ রয়েছেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, পুশইন হয়ে আসা ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদের বাংলাদেশী দাবি করেছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য যাচাই-বাছাই চলছে। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সত্যতা পেলে প্রশাসনের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফের কাছে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো সাড়া মেলেনি।