
পীরগঞ্জ, (রংপুর) প্রতিনিধি।। পীরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের উপর সন্ত্রাসী হামলা সহ প্রতিষ্ঠানে টাঙ্গানো জাতীয় পতাকা ছিড়ে অবমাননা করলেও পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় সংশয় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৭ জুলাই /২৫ইং সকাল ১০ ঘটিকায় রংপুর পীরগঞ্জের ৪ নং কুমেদপুর ইউনিয়নের হরিপুর দাখিল মাদ্রাসায়। এই ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিলেও অদ্যবদি মামলাটি রেকর্ড অথবা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় – উক্ত মাদ্রাসার বরখাস্তকৃত সুপার নুরুল আমিন ভারপ্রাপ্ত মাদ্রাসা সুপার আতোয়ার রহমানের নিকট থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক সুপারের দায়িত্বভার লিখে নিয়ে সুপারের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার আতাউর রহমান আদালতে মামলা করলে, মহামান্য আদালত সাময়িক বরখাস্তকৃত সুপার নুরুল আমিনকে অবৈধ ঘোষণা করে ভারপ্রাপ্ত সুপার আতোয়ার রহমানকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন। মহামান্য আদালতের উক্ত আদেশকে বাস্তবায়ন করার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত সুপার আতাউর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এতে বরখাস্ত কিছু সুপার ক্ষুব্ধ হয়ে
দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপারক আতোয়ার রহমানকে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে, ঘটনার দিন বরখাস্তকৃত সুপার নুরুল আমিনের নির্দেশে ভাড়াটিয়া লোকজন মোহাম্মদ হানিফ মিয়া,মহিদুল ইসলাম, মোপাক্ষারুল ইসলাম সাজু , নুরুজ্জামান মিয়া, মুস্তাহারুল মিয়া, আব্দুল বাতেন মিয়া এবং আব্দুল মমিন মিয়া সহ আরো অনেকে বেআইনিভাবে মাদ্রাসা অফিসকক্ষে প্রবেশ করে, ভারপ্রাপ্ত সুপার আতোয়ার রহমান কে টেনে হেচড়ে বের করে, মাদ্রাসায় পতাকা টাঙ্গানো বাশ ভেঙ্গে পতাকা ছিড়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা সহ বেধড়ক মারপিট করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহতি করলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে থানায় অভিযোগ দিলেও থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনায় বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম কথা হলে তিনি জানান – হ্যাঁ আমরা এই ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমরা ব্যবস্থা নিব।