
ব্যবসা একটি গুরুত্বপুর্ণ পেশা যা একটি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে জাতীয় জীবনে ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্ব পুর্ণ ভুমিকা পালন করে। ব্যবসার মত এত গুরুত্বপুর্ণ পেশা কিছু কিছু ক্ষেত্রে রীতি মত নিষিদ্ধ, নিন্দনীয় এবং এটি ক্ষেত্র বিশেষে গালিও বটে। দীর্ঘদিন হতে এটি ধর্মীয় গালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, গালিটির পুর্ণাঙ্গ রুপ হচ্ছে “ধর্ম ব্যবসায়ী” যা দেয়া হচ্ছে ধর্মীয় কোন দল বা ব্যক্তিকে। অথচ নিষিদ্ধ ব্যবসার আরো ২টি পন্য? আমাদের সামনে অবৈধ ভাবে বেচা কেনা হচ্ছে তাদেরকে গালি দেওয়াতো দুরের কথা এখন পর্যন্ত তাদেরকে চিহ্নিত পর্যন্ত করা হয়নি। তার একটি “গণতন্ত্র ব্যবসা” অপরটি “ধর্ম নিরপেক্ষতা ও চেতনা ব্যবসা”। গণতন্ত্র ব্যবসায়ী, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও চেতনা ব্যবসায়ীরা এবং অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায়ীরা দোর্দন্ড প্রতাপের সাথে তাদের অবৈধ ব্যবসা দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে। গালি দেওয়া হচ্ছে ইসলামী দল, গোষ্টি ও গ্রুফ গুলোকে তাদেরকে বলা হচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ী। তবে তলে তলে আরো অনেক নিষিদ্ধ ব্যবসায়ী মাঠে সক্রিয় এবং তারা নিষিদ্ধ ব্যবসা করে মুনাফা, সম্পদ, সম্মান ও ক্ষমতা অর্জন করেও নির্দোষ চরিত্র ও ইমেজ নিয়ে, অন্যদেরকে ধর্ম ব্যাবসায়ী,ধর্ম ব্যবসায়ী বলে ডাক চিৎকার করে গালি দিয়ে নিজেদের অবৈধ ব্যবসা ঢেকে রাখছে । এদের নসীব বেশ ভাল কেননা এরা যাদেরকে ধর্ম ব্যবসায়ী বলে গালি দেয় তারা ঠিক ধর্মীয় কারণে হয়তো কাউকে গালি গালাজ করা,দোষারোপ করা পছন্দ করেনা। আর দেশের সাধারণ জনগন কোন মার প্যচে নেই এবং এ নিয়ে তাদের তেমন একটা মাথাব্যথা নেই। ফলে এরা একতরফা নিষিদ্ধ ব্যবসা করে ধোকা দিলেও এদের সে নিষিদ্ধ ব্যবসার দায়ে অভিযুক্ত করা বা নিন্দাবাদ শুনতে হয়নি।
ব্যবসা কাকে বলে তা মোটা মুটি সকলে জানি, সে ব্যাপারে জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই তবে আজকের লেখনির জন্য সংজ্ঞাটি মনে করিয়ে দেই । ব্যবসা হচ্ছে কোন জিনিষ,লা়ভের উদ্দেশ্যে খরিদ করে লাভ দেখা দিলে তা বিক্রয় করা বা কোন কারনে লাভ নাহলেও ব্যবসায়ী মাল হওয়ায় একটি নিদৃষ্ট সময় অন্তে তা বিক্রয় করাকে আমরা ব্যবসা বলি । আমাদের দেশে ধর্মীয় ব্যবসায়ী যাদের বলা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে তারা এত দুর্বল ও অপরিপক্ক যে এ ব্যবসা করে কোন লাভ তারা ঘরে তুলতে পারেনি কারো কারো এ ব্যবসার বয়স প্রায় ১০০ বছরের কাছা কাছি। তবু ধর্মকে কাজে লাগিয়ে একবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারেনি। তার পরেও তারা এ অলাভ জনক ধর্ম ব্যবসাকে? ছেড়ে দেয়নি। বোকা আর কাকে বলে । আসলে কোন বিশ্লেষনে এ দেরকে ব্যবসায়ী বলা যায়না যে মাল কিনে ঘড়ে ফেলে রাখে বিক্রয় করেনা অথবা ব্যবসায় দীর্ঘ দিনেও কোন লাভ ঘরে তুলতে না পেরে সে মাল অলাভ জনক ভেবে ছেড়ে দেয়না এরা কোন মান দন্ডে ব্যবসায়ী হয় সেটি বুঝে আসেনা। আর এর পরেও যারা এদেরকে ব্যবসায়ী বলে বলে মুখে ফেনা তুলছে তারা হয় মুর্খ নয়তো ধুর্ত ও ধান্দাবাজ। নিষিদ্ধ চালাক শট ব্যবসায়ীদের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের চেতনা ও গনতন্ত্র ব্যবসায়ীরা। এরা একেবারে খাটি ও নির্ভেজাল ও নিষিদ্ধ ব্যবসায়ী। ধর্ম ব্যবসায়ী কোন কোন দলের হাটুর নীচের বয়স নিয়ে এরা একাধিক বার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গনতন্ত্রকে ক্রয় করে আবার ক্ষমতায় গিয়ে অন্যায়, নির্দয় ও নির্লজ্জ ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গনতস্ত্রকে বিক্রয় করে দেশ বাসিকে সীমাহীন দুর্দশা গ্রস্থ করে তোলে তার পরেও এরা ভাল মানুষ যত দোষ ইসলাম পন্থীদের। এদের কারো কারো যোগ্যতা আবার তোতা পাখির মত তোতা পাখিকে যা সেখানো হয় তাই বারবার বলে। নিজে চিন্তা করে কিছু বলার যোগ্যতা রাখেনা। এরা বন্ধুও চিনেনা শত্রুও চিনেনা। চিনে উপস্থিত লাভ তাতে ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতেও এরা পিছপা হয়না। চেতনা ব্যবসায়ীরা মুক্তি যুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ইত্যাদি নানান চেতনার ব্যবসা করে দেশ থেকে বিতারিত হয়ে এখন নির্বাসনে। সামনের দিনে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে এ সব অবৈধ ব্যবসায়ীদের দেশের জনগণ পুর্বে চিনতে না পারলেও এখন জনগন বেশ সচেতন শুধু শুধু গালি দিয়ে আর পার পাওয়া যাবেনা।