
বিশ্ব তামাক নিয়ন্ত্রন দিবস ও কিছু ভাবনা
অ্যাডভোকেট সরদার তাজুল ইসলাম
তামাক গ্রহন একটি অভ্যাস মাত্র। শুধু অভ্যাস বললে ভুল হবে এটি একটি নেতিবাচক অভ্যাস। যে অভ্যাসের কোন সুফল নেই,কল্যাণ নেই। তামাক ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বস্তি, সুখ, সুস্থ্যতা ও সমৃদ্ধি কেড়ে নেয়। মাদক সেবী তার অনিচ্ছা স্বত্বেও তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি, পরিবেশ এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে ক্ষতি গ্রস্থ করে। তামাকের ইতিবাচক আর্থিক কোন মুল্য নেই। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এর কোন ইতিবাচক অবদান বা ভুমিকা নেই বরং নেতিবাচক ভুমিকা সীমাহীন, তামাক সেবী তামাক সেবন করে তার নিজের,নিজ প্রজন্ম,এবং তার মাধ্যমে পরোক্ষ ধুমপায়ী ও তাদের প্রজন্মে ক্ষতি ছড়িয়ে দেয়। তাদের চিকিৎসা ও সুস্থ্যতায় আর্থিক ব্যয় কোন যৌক্তিক ব্যয় নয়,পুরোটিই ব্যক্তি,পরিবার ও রাষ্ট্রের অপচয়। যা শুধু মাত্র একটি আবেগী ও অবিবেচনা প্রসুত অভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে।
আমরা যারা তামাক বিরোধী তাদের কিন্তু সক্রিয় কোন ভুমিকা নেই। আমরা পথে, ঘাটে, অফিস, আদালতে সামান্য সংখ্যক ধুমপায়ীর বিবেচনাহীন প্রকাশ্য ধুমপানের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ধুমপানে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও প্রকাশ্যে ধুমপান করার জরিমানা আছে। তার পরেও একজন ধুমপায়ি প্রকাশ্যে ধুমপান করে আমাদেরকে পরোক্ষ ধুমপায়ি করে তুলছে অথচ আমরা নিরবে তা সয়ে যাচ্ছি। আমরা যারা অধুমপায়ী তাদেরকে সচেতন হতে হবে,প্রকাশ্যে কেউ ধুমপান করতে চাইলে বাধা সৃষ্টি করতে হবে,প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তীদের কে এবং প্রশাসনকে সহযোগী তার পরিবেশ তৈরী করতে হবে । সে জন্য অধুমপায়িদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে,প্রকাশ্যে ধুমপান প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে ।তা হলে এদিবস পালনের কিছুটা হলেও সুফল পাওয়া যাবে।