
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর বাসা থেকে ঢেকে বের করে তার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুজ্জামান আরিফ ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায়।
মামলার আসামিরা হলেন- লালমনিরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব থানা পাড়া কাজী কলোনীর মৃত খন্দকার বদিউজ্জামানের ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও পৌর যুবলীগের কর্মী আরিফুজ্জামান আরিফ এবং অজ্ঞাত নামা তার দুই সহযোগী।
হামলার শিকার সাংবাদিক শাহজাহান সাজু দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ ও আজকের খবর পত্রিকার লালমনিরহাট প্রতিনিধি।
তিনি জানান, রোববার ২৭ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ৯টায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আরিফুজ্জামান আরিফ ও তার দুই সহযোগী আমাকে বাসা থেকে ঢেকে বের করে। তারা বলে ভাই আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। আমি জিজ্ঞেস করি কোথায় যাব কিন্তু কেন। তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ঐ সদস্য বলে অত কিছু বলতে পারব না তুই যাবি কিনা বল না হলে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাব। আমি অবস্থায় বেগতিক দেখে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী আরিফ পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে আমার শাটের কলার ধরে বলে বেটা চল না হলে মেরে ফেলব। আমি আত্মরক্ষার্তে আমার বাম হাত দিয়ে তার ডান হাত ধরি ও ডান হাত দিয়ে গলা ধরে চিৎকার করিলে আমার ডা হাতে স্বজোরে কামোড় দিয়ে মটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলতে থাকে শালা আজকের মতো বেচে গেলি এরপর তোর বউ পোলাপানকে যেখানে পাব সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাব।
সাংবাদিক শাহজাহান সাজু বলেন, কয়েক দিন আগে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুরে এক জাপান প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করে। ঐ নববধু ছিল আরিফের ভাগিনার বউ। ঐ ঘটনায় আরিফ এজাহার ভুক্ত আসামি। ওয়ারেন্ট থাকায় আরিফ কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান চাকরি বাদ দিয়ে বেশ কিছু দিন থেকে গা-ঢাকা দিয়ে আছে। ঐ গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। সে সময় আমিও একটি সংবাদ শেয়ার করেছিলাম। তাই তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর সকালে হামলা করে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার রায় বলেন, সাংবাদিক শাহজাহান সাজুর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।