
সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলের নারীদের বেকাররত্ব দূরীকরণ ও দক্ষতা উন্নয়নে নানাবিধ কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক।
নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নকশীকাঁথা ও অন্যান্য হস্ত কুটির শিল্প ও কারিগরী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রায় অর্ধশতাধিক যুব- নারীদের মাঝে ২০ দিনের প্রশিক্ষন দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে মেয়েদের ভবিষ্যত ইচ্ছের কথা জেনে নগদ অর্থসহ সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা। রবিবার ২০ এপ্রিল বিকেলে চর যাত্রাপুর আরডিআরএস ফেডারেশনে প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠানে নগদ অর্থ তুলে দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ সাঈদা পারভীন,যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক সাইয়েদ আহমেদ বাবু,জুয়েল রানা,ফজলুল করিম ফারাজী প্রমুখ। শিক্ষার্থী ফাহমিদা পারভীন বলেন, আমি স্নাতকে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছি।তবে আমার ইচ্ছে নার্সিং পড়ার। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে নার্সিং ভর্তির আশ্বাস দিয়েছেন।সবার সহযোগিতা পেলে প্রত্যান্ত চরাঞ্চলে থেকে সামাজিক কার্ক্রমেগুলো আরো বেশি বেশি করতে পারবো। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সাইয়েদ বাবু বলেন,কুড়িগ্রামে চরের অবহেলিত মানুষের জীবন মান উন্নয়নে জেলা প্রশাসক যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।তিনি চরের মানুষের বিশেষ করে নারীদের বেকারত্ব দুুর করার লক্ষ্যে কারিগরি ও হস্তকুঠির শিল্পে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী করার চেষ্টা করছেন। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা জানান,গ্রামীন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামে প্রচুর মেধা সম্পন্ন মানুষ আছে। তাদের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মানে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। ইতিমধ্যে চরে ৪ জন মহিলাকে বিদেশ পাঠানো ও ৩০ জন শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আশপাশের মানুষগুলোকে কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা চাই শহরের মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে চরাঞ্চলের মানুষগুলো এগিয়ে যাক।