নোটিশ :
সারাদেশ প্রতিদিনে আপনাকে স্বাগতম।।। নিত্য নতুন খবর সবার আগে পেতে আমাদের সাথে থাকুন।।। ধন্যবাদ।।।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আসছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদককে কারাগারে প্রেরণ গাজীপুরে ট্রাকে ভর্তি গাঁজাসহ আটক ৩ কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বদলে গেছে জেলা কারাগার লালমনিরহাটে অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও দূর্নীতি পরায়ণ নিয়োগ প্রদানকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবীতে- বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড ভিশনের লার্নিং শেয়ারিং বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল জামালপুরে ছেলের দায়ের কুপে মা খুন লালমনিরহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেড় কোটি টাকার ক্ষতি কুড়িগ্রামেই সেরা, চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডসিপ জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন

লালমনিরহাটে সুপারির চাষ বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫১ বার পঠিত

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের উৎপাদিত সুপারি স্থানীয় মানুষের চাহিদা পূরণ করে সরবরাহ করা হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে করে লাভবান হয়ে থাকেন লালমনিরহাটের সুপারি চাষী, খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার ৫শত ১২হেক্টর জমিতে ছোট-বড় আকারের সুপারি বাগান রয়েছে। এ মৌসুমে সুপারি উৎপাদন গত বছরের উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন স্থানীয় সুপারি চাষীরা।

লালমনিরহাটের ফুলগাছ গ্রামের সুপারি চাষী মোঃ হযরত আলী, মোঃ সাহেব আলী বলেন, লালমনিরহাটের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই অতিথি আপ্যায়নের জন্য সুপারি অন্যতম উপকরণ। প্রতিটি গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে অতিথি এসে খালি মুখে গেলে নাকি অমঙ্গল হয়। তাই পান-সুপারি থাকতেই হবে প্রত্যেকটি বাড়িতেই। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা এখনও বিদ্যমান রয়েছে লালমনিরহাটে। এক সময় লালমনিরহাট জেলার সুপারি চাষীরা নিজেদের প্রয়োজনে বাড়ির আশপাশের অল্প কিছু সুপারি গাছ লাগাতেন। এখন লালমনিরহাটে পাকা লাল রঙের সুপারি চাষও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে।

কোদালখাতা গ্রামের সুপারি চাষী শ্রী সুধীর চন্দ্র রায় ও মোঃ ইয়াকুব আলী জানান, বসতবাড়ির আশপাশে এবং উঁচু জমিতে চারা লাগানোর আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে সুপারির গাছ। বছরে এক-দুবার গোবর সার আর পানির সেচ দেওয়া ছাড়া আর তেমন কোনো বাড়তি পরিচর্যা করা লাগে না।

ভাটিবাড়ী গ্রামের সুপারি চাষী মোঃ আকবার আলী, মোঃ আচকার আলী আরও জানান, মৌসুমের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লালমনিরহাটে এসে ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে নিয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ আবার সুপারি কিনে তা মাটিতে খাল করে পুতে রাখেন বা পানিতে ভিজিয়ে রাখেন। পরে পানিতে পঁচানো ওই সুপারি বিক্রি করেন প্রায় দেড়গুণ দামে।

ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাটের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়।

তিনি আরও বলেন, এ বছর সুপারির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2024 saradeshpratidin.com
Design & Development By HosterCube Ltd.